School🏫 নুন জয় গোস্বামী আমরা তো অল্পে খুশি; কী হবে দুঃখ করে? আমাদের দিন চলে যায় সাধারণ ভাটকাপড়ে। চলে যায় দিন আমাদের অসুখে ধারদেনাতে রাত্রিরে দু- ভাই মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে সব দিন হয় না বাজার ; হলে, হয় মাত্রাছাড়া বাড়িতে ফেরার পথে কিনে আনি গোলাপচারা কিন্তূ পুঁতব কোথায়? ফুল কি হবেই তাতে? সে অনেক পরের কথা। টান দিই গাঞ্জিকাতে।
School🏫 বুধুয়ার পাখি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত জানো এটা কার বাড়ি? শহুরে বাবুরা ছিল কাল ভীষণ শ্যাওলা এসে আজ তার জানালা দেয়াল ঢেকে গেছে, যেন ওর ভয়ানক বেড়ে গেছে দেনা, তাই কোনো পাখিও বসে না। এর চেয়ে আমাদের কুঁড়েঘর ঢের ভালো, ঢের দলে - দলে নীল পাখি নিকোনো নরম উঠানের ধান খাই, ধান খেয়ে যাবে.... বুধুয়া অবাক হয়ে ভাবে। এবার রিখিয়া ছেড়ে বাবুডির মাঠে বুধুঁয়া অবাক হয়ে হাটে, দেহাতি পথের নাম ভুলে হঠাৎ পাহাড়ে উঠে পাহাড়ের মতো মুখ তুলে ভাবে : ওটা কার বাড়ি, কার অত নীল, আমার ঘরের চেয়ে আরো ভালো, আরো নিকোনো উঠোন তার, পাখিবসা বিরাট পাঁচিল। পাঁচিল ওখানে আমিও যাব, কে আমায় নিয়ে যেতে পারো? এইভাবে প্রতিদিন বাধুয়া ডাকে কানায় কানায় আলো পথের কলশে ভরা থাকে, ঝাঁকে - ঝাঁকে পাখি আসে, কেউ তার দিদি, কেউ মাসি, রুপোলি ডানায় যারা নিয়ে যায় বাধুয়ার হাসি।।